ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কালো ডিম নিয়ে চাঞ্চল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বাগেরহাটের মোংলায় কালো ডিম পাড়া হাঁসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজমা বেগমের খাকি ক্যাম্পবেল জাতের একটি হাঁস কালো ডিম দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। কারণ দেশি হাঁসের এমন রঙের ডিম হওয়ার কথা না। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত খোদ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও।
জানা গেছে, নাজমা বেগমকে একটি এনজিও থেকে ২৫টি খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তিনি আরও ১০টি হাঁস কিনে লালনপালন শুরু করেন। গত তিন মাস ধরে তিনি এই ৩৫টি হাঁস লালনপালন করছেন। ১৪/১৫ দিন ধরে কয়েকটি হাঁস ডিম দিতে শুরু করে। এর মধ্যে একটি হাঁস কালো ডিম দিচ্ছে।
নাজমা বেগম জানান, ক্যাম্পবেল হাঁস বেশিরভাগই নীলচে রঙের ডিম দেয়। সাদা ডিম খুব একটা দেয় না বললেই চলে। তাই ডিম যেহেতু নীল, সাদা ও লাল বর্ণের হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কালোও হয়ে থাকতে পারে। তাই কালো ডিম কেন দিলো তা নিয়ে তিনি তেমন কোনো চিন্তা করেননি। তিনি এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।
তিনি জানান, শনিবার দুপুরে দুইটি কালো ডিম রান্না করে খেয়েছেন তারা। আর বিকেলে একটি কালো ডিম ভেজে খান। তবে ডিম কালো হলেও কুসুম অন্যান্য ডিমের মতোই। কুসুমের রঙে কোনো ভিন্নতা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অমল কুমার সরকার বলেন, হাঁসের কালো ডিম কেন হয়, সেটা আমার জানা নেই। আমি এই প্রথম কালো রঙের ডিম দেখেছি। তবে বিষয়টি পরীক্ষা না করে এর সঠিক কারণ বলা মুশকিল।
এর আগে, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নানগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাসলিমা বেগম ও জুলেখা আক্তারের দুটি হাঁস দুটি করে কালো ডিম দেয়। ঘটনাটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ নিয়ে আরটিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//