কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় মালিকাধীন ছাত্রাবাস থেকে তরুণীসহ কলেজের এক অফিস সহকারীকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে ওই ছাত্রাবাসের মালিক সোলায়মান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন- কচাকাটা থানার তরীরহাট এলাকার মশিয়ার রহমানের ছেলে আব্দুল কাদের। তিনি নাগেশ্বরী কলেজের বাংলা বিভাগের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত।
ছাত্রাবাসের আশপাশের স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে নাগেশ্বরী সরকারি কলেজের পাশে মালিকাধীন ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়েছে। অভিযুক্ত কাদের এমন ঘটনা আগেও করেছে। ছাত্রীনিবাসের একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। কাদের মেয়েদের দেখলে নানারকম খাপার কথা বলত। বিষয়টি ছাত্রী নিবাসের মালিকদেরও জানানো হয়েছে।
কলেজের এক শিক্ষক জানান, প্রায় চার বছর ধরে কলেজের পাশে মদিনা ছাত্রাবাসে থাকত কাদের। রোববার দুপুরে এক ছাত্রীকে নিয়ে রুমে ঢুকে প্রায় দুই ঘণ্টায় বের না হলে, আশপাশের লোকজন দরজায় ডাকাডাকি করলে সে সাড়া দেয়নি। পরে ওই কলেজের শিক্ষক ও পাশের ছাত্রী নিবাসের মালিক সেখানে গিয়ে ডেকে বের করলে তার পা ধরে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। তবে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় কাদেরকে উত্তম-মধ্যম দেয়।
তিনি আরও জানান, ছাত্রীকেসহ সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ানো হয় তাকে। এ সময় ছাত্রী জানান, তার বাড়ি ভূরুঙ্গামারী। কাদেরের সঙ্গে তিন বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক। এর আগেও তারা সেখানে দেখা করেছেন। তবে আটকের সময় দু’জনে বিয়ে করতে না চাইলে, তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করে কলেজের এক শিক্ষক বলেন, অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানানোর চেষ্টা করেছি। কাদের সেটা করতে দেয়নি। তবে ছাত্রীও অভিযোগ করতে চায়নি।
মদিনা ছাত্রাবাসের মালিক সোলায়মান আলী বলেন, রোববার দুপুরের এ ঘটনায় স্থানীয়রা খুব ক্ষিপ্ত। তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অফিস সহকারী আব্দুল কাদেরের মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান প্রভাষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, রোববার দুপুরের ঘটনাটি একজনের মাধ্যমে শুনেছি। এই বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষকে জানানো হবে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//