লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে সিতি রাহাইউ নামে আরও এক তরুণী লক্ষ্মীপুরে এসেছে। বাংলাদেশের মামুন হোসেন ও সিতি মালয়েশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এই সুবাদে তাদের পরিচয় ও প্রেম। সেই টানেই বাংলাদেশে ছুটে আসেন সিতি।
রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মামুন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহর ছেলে এবং সিতি ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ের মৃত জুমিরানের মেয়ে।
এর আগে, শনিবার বিকেলে মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন মামুন ও সিতি। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামে নিজবাড়িতে যান।
মামুন জানান, ২০১৭ সালে চাকরির সুবাদে সিতির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে করতেই বাংলাদেশে এসেছেন সিতি। এক মাসের ছুটি শেষে ফের মালয়েশিয়ায় চলে যেতে হবে। তবে, সিতি বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।
মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ জানান, পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে সিতি। সবাইকে আপন করে নিয়েছেন। স্বজন ও গ্রামের মানুষ পুত্রবধূকে দেখার জন্য ভিড় করছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ মার্চও প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী। ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামেও ওই তরুণী রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের রাসেল আহমেদকে বিয়ে করেন।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//