স্টাফ রিপোর্টার:
ছোট বয়স থেকেই টোকাইয়ের কাজ করতেন জব্বার মোল্লা। তখন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বাসাবাড়ির ছাদে রোদে দেওয়া জামাকাপড়, জুতা, রড ইত্যাদি চুরি করতেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে বাসাবাড়ির দরজা ভেঙে চুরি করতে শুরু করেন জব্বার মোল্লা ও সঙ্গীরা। এভাবে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে চুরি করে আসছিলেন তিনি। অবশেষে পুলিশের গুলশান গোয়েন্দা বিভাগের কাছে ধরা পড়েছেন আট বছর থেকে চুরি শুরু করা জব্বার মোল্লা।
শনিবার (৮ অক্টোবর) মিরপুর পল্লবী এলাকার একটি বাসায় চুরি করতে যাওয়ার সময় জব্বার মোল্লাসহ তার ছয় সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দলের সর্দার মো. জব্বার মোল্লা (৬৭), আজিমুদ্দিন (৫২), মো. জামাল (৪৪), মো. আবুল (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন (৪৪) ও মো. আবদুল ওহাব (৪৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৯ ভরি সোনা ও ৮২ ভরি রুপা, নগদ প্রায় ১৭ লাখ টাকা, দরজা ভাঙার যন্ত্রপাতি এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট খিলক্ষেতে এক ডাক্তার দম্পতির বাসায় চুরি হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে ছায়াতদন্তে নামে গুলশান গোয়েন্দা বিভাগ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত চোর চক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় তারা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোর সদস্যরা জানান, সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা প্রহরী নেই এমন বাসাই টার্গেট করতেন তারা। জব্বার মোল্লা বয়স্ক ও দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবি পরে চলাফেরা করায় কেউ তাকে সন্দেহ করত না। মূলত, এই বেশভূষাই ছিল চোর চক্রটির প্রধান হাতিয়ার। পরে সুবিধামতো টার্গেটকৃত ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় বিভিন্ন ফ্লোরে ঘুরে যে বাসার প্রধান দরজা লক করা থাকে, সেই বাসার দরজা ভেঙে চুরি করে তারা।
চুরির সময় দুজন বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। বাকিরা বাইরে পাহারায় থাকে। ১০ মিনিটের মধ্যে চুরি শেষ করে মালামাল ভাগ করে নিয়ে যে যার এলাকায় চলে যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চোরদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরির মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের আরও সদস্য এবং চোরাই অলঙ্কারের বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর/