ধর্ষণের শিকার মাদরাসাছাত্রীর সন্তান প্রসব
অক্টোবর ১১, ২০২২
প্রেমিকার মৃত্যুর শোকে প্রেমিকের আত্মহত্যা
অক্টোবর ১১, ২০২২

মধুমতি সেতুতে প্রথম দিন টোল আদায় আড়াই লাখ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতি সেতুর উদ্বোধনের পর শুরু হয়েছে যান চলাচল। টোল প্লাজার ৮টি বুথের মধ্যে ৫টি চালু রয়েছে। প্রথম দিনই সেতুর দুই পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ হাজার ২০০টি যানবাহন পারপারে টোল আদায় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।

সোমবার (১০ অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মধুমতি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় মধুমতি সেতু।

এরপর থেকে এ সেতু পার হয়ে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থলবন্দর, সাতক্ষীরাসহ নানা জেলায় যাতায়াত করছে যানবাহন। এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল ও কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখছে সেতুটি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিনই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে এ সেতু দিয়ে বাড়বে যানবাহনের চাপ। ফলে বাড়বে টোল আদায়ের হার।

মধুমতি সেতুতে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে- বড় ট্রেলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সেলবিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সেলবিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপভ্যান, কনভারশনকৃত জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিনচাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা-ভ্যান-বাইসাইকেল পাঁচ টাকা।

সেতুটি চালু হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, যশোর, খুলনা, বেনাপোল, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। কমেছে ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পথ। ভোগান্তি ছাড়াই মধুমতি নদী পার হওয়ায় খুশি যাত্রী ও চালকেরা।

যাত্রী আমজাদ হোসেন বলেন, নড়াইল থেকে মোটরসাইকেলে গোপালগঞ্জ যাচ্ছি। সেতুতে ১০ টাকা টোল দিয়েছি। আগে নদী পার হতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তাম। এখন সহজেই গোপালগঞ্জ যেতে পারছি।

অপর যাত্রী সাবিনা বেগম বলেন, কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় যাচ্ছি। সেতু হওয়ায় আমাদের যেমন দুর্ভাগ কমেছে, তেমনি দ্রুত যেতে পারছি।

বাসচালক হাসেম আলী বলেন, সেতু পারাপারের জন্য টোল দিয়েছি। আগে মধুমতি নদী পার হতে গিয়ে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন সহজেই নদী পার হলাম। এতে আমাদের পাশাপাশি যাত্রীরাও ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই পেলো।

মধুমতি সেতুর টোলিং সিস্টেম প্রজেক্ট ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা ‍পর্যন্ত এ সেতু দিয়ে ১ হাজার ২০০টি বিভিন্ন ধরণের যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এখন প্রতিদিনই যানবাহনের চাপ বাড়বে। সেজন্য টোল আদায় যাতে বিঘ্নিত না হয়, আমারা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি।

সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *