স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা জেলার সাভারে ‘জেনিথ ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স’ নামক বীমা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চাকরি দেয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ৪ জন মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রবিউল আলম (৩৯), মাহমুদুর হাসান (২১), নাঈম হোসেন (১৯), আশ্রাফ আল মুন্না (২০), মিঠুন হাজং (২৫), আসাদ প্রামাণিক (২০), আনিসুর রহমান (২১), সাগর সরকার (২১), আব্দুল হাকিম (২৪), জনি হোসেন (২১) ও আলি আহম্মদ (২০)।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, রেজিস্টার, মোবাইল, সীম কার্ড, সীল, ভিজিটিং কার্ড, আইডি কার্ড ও অন্যান্য প্রতারণার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব- ৪ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রতারণার কথা স্বীকার করে এবং চাকরি প্রত্যাশী, বেকার, অসহায় ও নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ প্রতারণামূলক ভাবে আত্মসাৎ করে আসছেন।
চক্রটির প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে র্যাব জানায়, এই চক্র জেনিথ ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে ফুল-টাইম, পার্ট-টাইম চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে। বিজ্ঞাপন দেখে চাকরি প্রত্যাশী শতশত যুবক-যুবতী ও ছাত্র-ছাত্রীরা যোগাযোগ করলে প্রথমে রেজিষ্টেশন ফি হিসেবে চাকরি প্রত্যাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিতো।
পরে চাকরির নিশ্চয়তা ও মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ১০/২০ হাজার টাকা নিয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে পলিসি খুলতে বাধ্য করতো। ইউনিট ম্যানেজার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার প্রভৃতি পদে ১৮ হাজার ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইন্সুরেন্স করাতে প্রলুব্ধ করত।
চাকরি পাওয়ার পর মাসের পর মাস অফিসে আসা যাওয়া করে বেতন না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকে টাকা ফেরত চাইলে তাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি, মারধর এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি দিতো চক্রটি।
র্যাব জানায়, এই প্রতারক চক্র এর আগেও প্রতারণার দায়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে উক্ত প্রতারণার দায়ে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//