ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কল্যাণে দীর্ঘ তিন যুগ পর ভিক্ষুক জয়গুন বেওয়া (৭৫) জানতে পেরেছেন যে, তিনি ২৫ বিঘা জমির মালিক। তিনি ৩০ বছর ধরে ভিক্ষা করে পেট চালাচ্ছিলেন।
জয়গুন বেওয়া বলেন, তিন যুগ আগে ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে ভিটেমাটিসহ ২৫ বিঘা সম্পত্তি হারিয়েছি। সেই থেকে ভিক্ষা করে পেট চলছে আমার। নদীর বুকে আবারও আমার ভিটেমাটি জেগে উঠেছে। তবে আমার জমি এখন অন্যের দখলে। তাই কাগজপত্রের খোঁজে ডিজিটাল সেন্টারে ছুটে এসেছি। ১৮ বিঘা সম্পত্তির নথিপত্র বুঝে পেয়েছি।
এত বছর পর কামারজানি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কেন এসেছেন? এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ভিক্ষে করে ভাত খাই, আমার জমিজমা থাকতে আমি কেন ভিক্ষা করব? ২৫ বিঘার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ বিঘা জমির কাগজপত্র পাইছি। যারা আমার জমি দখল করে আছে তারা যেন আমার জমি ছেড়ে দেয়। এ জন্য অফিসে আইছি।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পৌর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা নূরুল আলম আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০টি খতিয়ানের আবেদন হয়। আমরা আবেদন অনুসারে সেবা দিচ্ছি। ই-নামজারি, পর্চা, খারিজ, খতিয়ান, মৌজা ম্যাপ ও দলিলসহ ভূমি সংক্রান্ত সেবা ডিজিটাল সেন্টারে দেওয়া হচ্ছে।
ভূমি অফিসের সেবাগ্রহীতারা বলছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের ফলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে। জনভোগান্তিও কমছে। এখন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে খতিয়ান ও পর্চাসহ ভূমিসংক্রান্ত যাবতীয় সেবা গ্রামেই পাওয়া যাচ্ছে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//