নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাবার লাঠির আঘাতে জিয়াউর রহমান জিয়া নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের মহুপপুর গ্রামে লাঠির আঘাতে আহত হন জিয়া। পরে রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
পরিবার সূত্র জানায়, জিয়া দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। ভালো হবে এই আশায় পরিবারের পক্ষ থেকে জিয়াকে বিয়ে করানো হয়। তবে কিছুদিন পর প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে আবারও বিয়ে করানো হয় জিয়াকে। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রীও সংসার না করে তাকে ছেড়ে চলে যায়।
এরপর জিয়া মানসিকভাবে আরও বেশি ভেঙে পড়েন। সে আরও বেশি অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। এরই মধ্যে সে আবারও বিয়ে করার জন্য জেদ করেন। এ নিয়ে প্রতিদিনই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হতে থাকে। বুধবার সকালে বাবার সঙ্গে তর্কে জড়ান জিয়া। একপর্যায়ে মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বাবা আবু তাহের ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়াকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন জিয়া। পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে জিয়ার মৃত্যু হয়।
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় জিয়ার পিতা আবু তাহেরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
//আর//