বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ছাত্রীর মরদেহ পচে খসে পড়ার উপক্রম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বরিশাল বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনের পেছনে মোল্লা ছাত্রীনিবাসের (রোকেয়া হল নামে পরিচিত) ওই কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী কয়েক দিন আগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত রিবানা শাহারিন পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠির বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই শাহারিনের পরীক্ষা ছিল। সেদিন পরিবারের ও তার এক সহপাঠীর সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। তিনদিন ধরে মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় নিহত শিক্ষার্থীর মা, চাচা ছাত্রী নিবাসে খোঁজ নিতে এসে দরজা আটকানো দেখে। এ সময় দরজা ভেঙে রুমে প্রবেশ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো খোরশেদ আলম বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। জানতে পেরেছি, সে তার কক্ষে একা থাকতো। তাই আশেপাশে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী থাকার পরও বিষয়টি অনুমান করতে পারেনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর মুকুল বলেন, মেসের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে শাহরিন একা থাকত। গত দুদিন যাবত স্বজনরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তার বাবাসহ কয়েকজন স্বজন ছাত্রীনিবাসে পৌঁছে শাহরিনের কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো দেখেন। পরে অন্যদের সহযোগিতায় দরজা খোলার পর ফ্যানের সঙ্গে শাহরিনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। মরদেহ পচে শরীর থেকে মাংস খসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
বন্দর থানার সহকারী কমিশনার মেহেদি হাসান জানান, ছাত্রীর পরিবারও প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, সে আত্মহত্যা করেছে। তার আগে থেকে একা থাকার প্রবণতা ছিল বলে পরিবার জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
//এস//