নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং তার নেতাকর্মীর ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে ঢাবির টিএসসি (শিক্ষক-ছাত্র কেদ্র) এলাকায় ছাত্র অধিকার পরিষদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী পালক করতে আসলে নেতাকর্মীরা মারধর ও হামলার শিকার হন। হামলায় নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ১১ জন নেতাকর্মী আহত হন।
আহতরা হলেন- উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুর জাহের (৩০), ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মেহেদী হাসান (২৩), রাকিব (২৫), তোফায়েল আহমেদ (২৫), মো. রাকিব (২৮), সাব্বির (২৫), সাদ (২৩), তুহিন (২৫), ইউসুফ (২৩), আকাশ (২২) ও পথচারী কামরুজ্জামান(৩৫)। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রোগ্রামের আগে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে টিএসসি ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি পুরো ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে। এ সময় তাদের মোটরসাইকেল বহরে কয়েক শ নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের অবস্থানের কথা জেনে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে আসে ছাত্র অধিকার পরিষদ। পরে রাজু ভাস্কর্যের কাছে আসতেই শয়ন ও সৈকতের গাড়ি বহর তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এতে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় দুই দল। পরে সেখানে উত্তপ্ত অবস্থা তৈরি হয়। গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিয়ে মারধর করতে থাকে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের। ধাওয়া দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে এনেও মারতে থাকে। পরে আহতরা রিকশায় করে চলে যান।
ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফ্যাসীবাদী সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা করেছে। এতে অন্তত আমাদের ২৫ থেকে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১০ থেকে ১২ জনের অবস্থা খুবই গুরুতর।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা জানতে পেরেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতরা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য গোপন ষড়যন্ত্র করেছে। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবার সামনে এসেছে। তারই প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করছিল। এ সময় নুরুল হক নুরসহ একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী তাদের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। পরে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে নুরের যে অবৈধ সম্পর্ক সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারেনি। তাই, নুরকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। হামলায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত আছে কিনা আমরা সেটা খতিয়ে দেখব।
//এস//