কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ী সাইফুল হত্যা, মাস্টারমাইন্ড সুমনসহ গ্রেফতার ৩
আগস্ট ৪, ২০২৩
ঢাকায় অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার
আগস্ট ৪, ২০২৩

সুদের টাকা ফেরত দিতে দুই খুন, গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

সমিতি থেকে চড়া সুদে নেয়া ঋন ও সুদের টাকা ফেরত দিতে দুই জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ক্লুলেস ও বহুল আলোচিত টাঙ্গাইলের সখিপুরে নৃশংসভাবে ব্যবসায়ী শাহজালাল ও তার চাচা মজনুকে হত্যার সঙ্গে জড়িত দুইজন হলেন, মো. মোস্তফা মিয়া (২০), আলামিন (২৭)। এই হত্যার মূল পরিকল্পনা করেন মোস্তফা মিয়া।

মঈন জানান, সমিতি থেকে চড়া সুদে ঋণ নেয় মোস্তফা। তার এই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য ব্যাংক চাপ দেয়। টাকা ফেরত দিতে মোস্তফা চিন্তিত হয়ে পরেন। তার হাতে টানাটানিও ছিলো। মোস্তফা রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। আর আলামিন ছিলো তার সহযোগী।

মোস্তফা প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে বলেন, শাহজালাল মোবাইল ব্যাংকিং করতো। তিনি যখন বাসায় যেতেন তখন সঙ্গে অনেক এক থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যেতেন। শাহজালালকে দীর্ঘদিন তারা নজরে রাখে। কখন কবে বাসায় যায় এবং সঙ্গে কখন টাকা থাকে তাও নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসে মোস্তফা। সব তথ্য একাট্টা করে ১৯ জুলাই রাতে মোস্তফা তার সহযোগী নিয়ে জামালের চালা নামক নির্যন স্থানে অপেক্ষা করছিলো।
মঈন জানান, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা অপেক্ষা করছিলেন। আর বাসায় যেতে রওনা হন শাহজালাল। পথিমধ্যে চাচা মজনুকে পায় শাহজালাল। তাকেও মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেয় শাহজালাল। এরপর জামালের চালা এলাকায় এসে পৌছালে মোস্তফা ও আলামিন তাদের দুজনকে রড দিয়ে মাথায় বারি দেয়। এতে দুজনই নিহত হন। তাদের মোটরসাইকেল পাশের নির্জন জঙ্গলে ফেলে দেয়া হয়। আর দুটি মোবাইল পায় তারা। একটি মোবাইল ফেলে দেয় ডোবায়। আরেকটি সঙ্গে নিয়ে আসে মোস্তফা। নিহতের পরিবার ২০ জুলাই মামলা দায়ের করে। এটি এলাকায় চাঞ্চল্য সমষ্টি করে।

তিনি বলেন, এই ঘটনার পর দুই জন এলাকায় ছিলো। কিন্তু এটা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখে আসামীর পালায়। র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা ও র‍্যাব ১৪ এর আভিযানিক দল রাজধানীর মোহম্মদপুর ও টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে গ্রেফতার করে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানায়, ঋনের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ড। তাছাড়া তাদের টাকাও প্রয়োজন ছিলো। হত্যাকারীরা জানতো নিহত ব্যবসায়ী বাসায় ফেরার সময় সঙ্গে করে দেড় লাখের মতো টাকা নিয়ে জান। তাই একটি নির্জন স্থানে তারা দাড়ায়। মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় শাহজালাল ও তাঁর চাচাকে হত্যা করা হয়।

//এস//

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *