কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে মেট্রোরেল
আগস্ট ৯, ২০২৩
শিক্ষকের প্ররোচনায় ঘর ছাড়া আবু বক্কর, ভুল বুঝে ফিরলো স্বাভাবিক জীবনে
আগস্ট ৯, ২০২৩

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে নবজাতককে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

সিরাজগঞ্জ সদরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. মোজাম্মেল হক (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে ভুক্তভোগী ওই নারী একপর‍্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের চাপ দেন তিনি। বিয়ে না করে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৮ মাস পার করেন অভিযুক্ত মোজাম্মেল। পরে সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া নবজাতককে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তির কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী গত ৩০ জুলাই সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন। এ ঘটনায় বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে অভিযুক্ত মোজাম্মেলকে গ্রেফতার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

বুধবার ( ০৯ আগস্ট ) এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩ স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি ফারজানা হক। তিনি জানান, সিরাজগঞ্জ জেলা সদর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি মো. মোজাম্মেল হককে (৪০) রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের সিলন্দা এলাকায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রে তিনি জানান, মোজাম্মেল হক ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে ওই নারী একপর‍্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ওই নারী মোজাম্মেলকে বিয়ের চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু মোজাম্মেল ওই নারীকে নানা প্রতিশ্রুতি দিতে থাকেন। তাদের বোঝাপড়ার একপর‍্যায়ে ওই নারীর অন্তঃসত্ত্বার সময় ৮ মাস অতিবাহিত হয়ে যায়। এরপর গত ২১ জুলাই মোজাম্মেল ওই নারীকে সিজার করায়। সিজারের পর মোজাম্মেল সেই নবজাতককে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তির কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলে মোজাম্মেল তাকে তার বাড়ি উঠতে দেয় না এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ওই নারী কোনো উপায়ান্ত না পেয়ে গত ৩০ জুলাই সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন। মামলার পর থেকে আসামি মোজাম্মেল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করে আসছিলেন।

গ্রেফতারের পর আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

//এস//

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *