চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করতে থাকা একটি চক্রের ৪ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি কার্তুজ, ৩৪টি অটোরিকশার ব্যাটারি ও একটি পিকআপসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জের বারইয়ারহাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক তাপস কর্মকার।
আটকরা হলেন- চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মো. শাহ আলমের ছেলে মো. হক (২৩), একই উপজেলার আলমগীর হোসেনের ছেলে সাইফুল হক ওরফে রনি (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার আবদুর রহিমের ছেলে চাঁন মিয়া (২৮) ও সুনামগঞ্জ জেলার তারা মিয়ার ছেলে সিজিল মিয়া ওরফে সোহাগ (৩০)।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার হকের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ এবং সীতাকুণ্ড থানায় ডাকাতি, মাদক, চুরি, হত্যাচেষ্টা এবং অস্ত্র আইনসহ মোট ২০টি মামলা এবং সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় চুরি, হত্যার চেষ্টা ও মাদকসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৭ এর সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াডন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। এক পর্যায়ে গতকাল খবর পাই একটি ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র ও ডাকাতির মালামালসহ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে বারৈয়ারহাট এলাকায় ঢগাড়ি তল্লাশি করা হয়। এসময় চেকপোস্টের দিকে আসা একটি পিকআপভ্যানকে থামানোর সংকেত দিলে সেটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক। পরে কৌশলে গাড়িটিকে ধরা আটক। পরে গাড়ির ভেতর থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটিট টি কার্তুজ, ৩৪টি অটোরিক্সার ব্যাটারি, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম, একটি পিকআপসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ডাকাতরা জানায়, ডাকাত দলটি হাইওয়ে এবং আন্তঃজেলা ডাকাতির সাথে জড়িত। এ দলের বেশিরভাগ সদস্য চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করে মালামালসহ ঢাকার উদ্দেশে গমন করে। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখী সাধারণ মানুষের চলাচলের স্থানে পথচারীকে আটক করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা।
//এস//