সাকিব-তামিম ইস্যুতে বিসিবির সঙ্গে বৈঠকে মাশরাফি
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
ফেসবুকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ভুয়া তালিকা ভাইরাল
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

মোহাম্মদপুরের ‘রক্তচোষা’ জনি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী, পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. মনির হোসেন ওরফে মো. জনি মিয়া ওরফে ‘রক্তচোষা’ জনিকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার মোহাম্মদপুরের একতা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও তিনশ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর এলাকায় সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই এলাকা সবচেয়ে দুর্ধর্ষ, কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী রক্তচোষা জনিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তুরাগ নদী সংলগ্ন একতা হাউজিং এলাকা থেকে জনিকে গ্রেপ্তার করে।

ডিসি বলেন, তার নামে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে। সে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, একতা হাউজিং, নবীনগর হাউজিং ও বসিলা এলাকা এবং আদাবর থানা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

তাকে মোহাম্মদ এলাকার ত্রাস বলা চলে। এমন কোনো অপরাধ নেই যে সে করেনি। একবার তাকে আটক করতে গেলে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশের এসআইকে কুপিয়ে সে আহত করেছিল। অনেক বড় বড় অপরাধে জড়িত এই জনি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে নতুন করে দুইটি মামলা হবে। জনির নামের সঙ্গে রক্তচোষা যোগ হওয়ার পুলিশ কর্মকর্তা আজিমুল হক বলেন, জনির বিভিন্ন কুখ্যাতির জন্য স্থানীয়রা তাকে এই নামে মানুষ ডেকে থাকে। অবশ্যই সে এমন কোনো কাজ করেছে বা রক্ত খেতে পারে যার কারণে এই ভয়ঙ্কর নামের খ্যাতি পেয়েছে। তার নামে মামলার সংখ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কততা ভয়ঙ্কর। বেশকিছু দিন ধরে সে সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করছিল। অতঃপর তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

জনিকে প্রশ্রয় দেয়াদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বলেন, জনির দুস্কর্মের সহযোগি, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার লোকজন থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো আমরা তদন্তে আনার চেষ্টা করব।

পুলিশকে কোপানোর ঘটনায় জনির সম্পৃক্ততা আছে জানিয়ে আজিমুল হক বলেন, ইতিপূর্বে এমন ঘটনা সে ঘটিয়েছে। অনেকগুলো অপরাধ সে করেছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

//এস//

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *