চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে এক ছাত্রলীগকর্মী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম জাহেদ হোসেন রুমন। তিনি উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের মৃত নুরে জামানের ছেলে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের আজমপুর বাজার এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ উপলক্ষে আজমপুর বাজারে কর্মিসভা করছিল উপজেলা বিএনপি। একই সময় বাজারের অপরপাশে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জমায়েত ছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উভয়পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হন রুমন। পরে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিনুল ইসলাম স্বপন দাবি করেন, আগামী ৫ অক্টোবরের কর্মসূচির প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। এসময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। অবশ্য স্বপন এও স্বীকার করেন পরক্ষণে বিএনপির সংক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরাও ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে ওসমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ্ আলম বলেন, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা স্থানীয় আজমপুর বাজারে আমাদের ছাত্রলীগ নেতাকে হাসান ও তার কয়েকজন সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। এসময় জাহেদ হোসেন রুমন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে শাহ্ আলম বলেন, এটা ডাহা মিথ্যা। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা বলেন, আজমপুর বাজারে বিএনপির লোকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ওচমানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসান, মিরাজ, আরেফিন ও রাফিসহ ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ছাড়াও জাহেদ হোসেন রুমন (১৬) নামে এক ছাত্রলীগের কর্মী মারা গেছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি কর্মিসভা করছিল। তবে আমরা অবগত ছিলাম না। আওয়ামী লীগ বাজারে প্রায়ই সভা-সমাবেশ করে। তাদের কোনো কর্মসূচির বিষয়ও আমরা জানতাম না। সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক কিশোর মারা গেছে। ছাত্রলীগের নেতারা ওই কিশোর তাদের কর্মী বলে আমাদের জানিয়েছেন। আরও ২-৩ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে।
//এস//