স্পোর্টস ডেস্ক
ভয়াবহ মাদককাণ্ড ঘটানো পাঁচ ফুটবলারকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াডে রাখেনি বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। মাদককাণ্ডের জন্য তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর মালেতে মাজিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে পরের দিন ঢাকায় ফেরে বসুন্ধরা কিংস। ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমস অফিসাররা বসুন্ধরা কিংসের পাঁচ ফুটবলার তপু বর্মন, আনিসুর রহমান জিকো, তৌহিদুল আলম সবুজ, শেখ মোরসালিন ও রিমন হোসেনের লাগেজ থেকে ৬৪ বোতল মদ উদ্ধার করেন।
তারা মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলে দেশে ফেরার সময় অবৈধ মদ নিয়ে এসেছিলেন।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমসের একটি সূত্র এ তথ্য জানান। তবে অনেকের সন্দেহ, মদের বোতল ছিল ১০০ এর কাছাকাছি।
পাঁচ ফুটবলারের এমন কর্মকাণ্ডের পর বসুন্ধরা কিংস তাদের সাময়িক নিষিদ্ধ করে অধিকতর তদন্ত করছে। এ বিষয়ে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান মঙ্গলবার রাতে বলেছেন, ‘পাঁচ ফুটবলার দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙেছে। এ জন্য তাদের সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছি। আমরা আলাদা আলাদাভাবে সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির অধিকতর তদন্ত করছি। এর মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসবে কে কতটা দোষী। সেভাবে চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’
মদ আনার প্রসঙ্গে কিংসের সভাপতি বলেন, ‘ঠিক কী কারণে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নির্দিষ্ট করে তা এখনই বলছি না। এতটুকুই বলবো, ওরা বড় ধরনের অন্যায় করেছে। তদন্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে পারবো।’
২৪ অক্টোবর ভারতের ভুবনেশ্বরে মোহনবাগানের বিপক্ষে কিংসের এএফসি কাপের পরের ম্যাচ। ওই ম্যাচের আগে এই খেলোয়াড়রা নিষেধাজ্ঞামুক্ত হবে কি না- জানতে চাইলে ইমরুল হাসান বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে সব জানতে পারবেন ওদের বিরুদ্ধে কী সিদ্ধান্ত হয়।’
//এস//