নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে জেলা ডিবির ওসি খোকন চন্দ্র সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মে মাসে ছাত্রদলের দুই নেতা হত্যার পর থেকে ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ পলাতক ছিলেন। নাহিদ নরসিংদী সদর উপজেলার নাগরিয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
জেলা ডিবির ওসি খোকন চন্দ্র সরকার জানান, পরে নাহিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নরসিংদীর চিনিশপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসার বাথরুমের ফলস ছাদ থেকে দুটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, নাহিদের নামে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। নাহিদকে নরসিংদী সদর মডেল থানায় গত ২৬ মে দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পরিবার বলছে, রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে হয়রানি করার জন্যই তাকে গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও পরিবার জানায়, নাহিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ ৩০টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
এদিকে, এ বছরের ২৬ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই নতুন কমিটিতে পদ না পেয়ে ওইদিন রাতেই কিছু নেতা-কর্মী বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। সবশেষ ২৫ মে নরসিংদীর জেলখানা মোড়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান ও আশরাফুলকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এ হত্যা ঘটে বলে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর থেকে নাহিদ পলাতক ছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এবং তার স্ত্রী স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানাও দুই ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় অন্যদের সঙ্গে আসামি হন।
//এস//