স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল পাড়ি দেওয়ার পরপরই দেশের ক্রিকেটে ঘটে যায় আলোচিত দুই ঘটনা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এর শুরুটা করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপে স্কোয়াড থেকে তার বাদ পড়া নিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। এরপর এই আগুনে নতুন করে ঘি ঢালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
একইদিন রাতে দেশের এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকার দেন সাকিব। লাল-সবুজের সিনিয়র এই দুই ক্রিকেটারের এমন সাপে-নেউলে সম্পর্কের জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়ায়। এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে খোদ দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা বিসিবিও।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এমন মন্তব্যের আগে বিসিবি থেকে সাকিব কোনো অনুমতি নিয়েছিল কি না।
জবাবে টিটু বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে জানতাম না (সাকিব সাক্ষাৎকার দিয়েছে)। আমি সংবাদমাধ্যমে প্রথম দেখেছি। যখন আমরা এটা দেখতে পেয়েছি, তখন ইতোমধ্যে দল বিশ্বকাপ খেলতে চলে গেছে। যখন বিশ্বকাপ বা একটা টুর্নামেন্ট চলে তখন আমাদের ফোকাস থাকে শুধু ওই টুর্নামেন্টে। বাহ্যিক আলাপ আলোচনার সুযোগ থাকে না। এখন দল এসেছে, আমরা রিপোর্ট পাওয়ার পর এগুলো আলোচনা হবে।
সাকিবের এমন সাক্ষাৎকার বিশ্বকাপ দলে প্রভাব রেখেছে কি না প্রশ্নের জবাবে তার (টিটু) মন্তব্য, আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি আছে। আমাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর, এটা নিয়ে প্ল্যান অব অ্যাকশন যা-ই থাকবে, সেগুলো ঠিক করা হবে। যদি শৃঙ্খলা কমিটি মনে করে, এ ধরনের কিছু করা দরকার, সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে।
টিটু যোগ করেন, সাকিব-তামিম-মুশফিক-রিয়াদ তো নতুন ক্রিকেট খেলছে না। তারা তাদের কন্ট্রাক্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের তালিকায় তারা ওপরের দিকেই থাকবে। তারা যেই কাজগুলো করেছে বা যেই সাক্ষাৎকারগুলো দিয়েছে, যেটা নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, সেই জিনিসগুলো যদি বিশ্বকাপ শুরুর আগে না হতো তাহলে আমরা আরও স্বস্তির জায়গাতে থাকতাম। ওইরকম যদি না হতো তাহলে হয়তো ভালো হতো।
//এস//