আজ ঢাকায় ফিরছেন পিটার হাস
নভেম্বর ২৭, ২০২৩
পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
নভেম্বর ২৭, ২০২৩

রিজেন্ট সাহেদের জামিন বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ৩ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

এর আগে রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতে চেয়ে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

১৪ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ৩ বছর দণ্ডের মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন গত ৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন।

গত ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের ওই রায় দেন। রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।

সাহেদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন করা হলেও ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় এ দণ্ড দেওয়া হয়। তবে ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার জন্য কারাগারে থাকা সাহেদকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তিনি আপিল করেন।

২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।

কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। সাহেদ এরপরও তা জমা দেননি।

এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন একটি আদালত।

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *