বাড়ির সামনে ছাত্রলীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মার্চ ১৯, ২০২৪
ঢামেকের ইনজেকশন বিক্রি করে দিচ্ছিলেন ২ নার্স, হাতেনাতে ধরা
মার্চ ১৯, ২০২৪

বিয়ের তিন দিন আগে বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়ে উধাও ছাত্রলীগ নেতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বেড়বাড়াদী গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে ও হরিনারায়নপুর দোয়ারকাদাস আগরওয়ালা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ আরা প্রাপ্তির বুধবার (২০ মার্চ) বিয়ের কথা ছিল। বিয়ের তিন দিন আগে রোববার (১৮ মার্চ) তাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন আদিপুজ্জামান সংগ্রাম নামে ছাত্রলীগ নেতা।সংগ্রাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণীর বড় ভাই আসিফ করিম প্রাপ্তি। ঘটনার পর কুষ্টিয়াজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বেড়বাড়াদী গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে ও হরিনারায়নপুর দোয়ারকাদাস আগরওয়ালা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ আরা প্রাপ্তি রোববার দুপুরে হরিনারায়নপুর বাজারে যান কেনা কাটা করতে। কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বেড়বাড়াদী এলাকা থেকে হরিনারায়নপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রাম কলেজছাত্রী প্রাপ্তিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তার ওই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রামসহ কয়েকজন প্রাপ্তিকে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে কলেজছাত্রী প্রাপ্তির বড় ভাই আসিফ করিম প্রাপ্ত জানান, ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রাম প্রায়ই তার বোন প্রাপ্তিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া দিতো না বোন প্রাপ্তি। রোববার দুপুরে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে প্রাপ্তি। তাই জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় প্রাপ্তিকে। এ ঘটনায় ইবি থানায় সংগ্রাম ও তার বাবা আজগর আলী এবং একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সোহানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।

অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে পুলিশ বোনকে উদ্ধারে চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় পুলিশ সংগ্রামের বাবা আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান প্রাপ্ত।

এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি মোহাম্মদ মামুন রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত সংগ্রামসহ কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। মোবাইলের সূত্র ধরে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রামের এমন কাণ্ডে তোলপাড় চলছে কুষ্টিয়া ছাত্রলীগে। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান, ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। সংগ্রামের বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুনেছি। তবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

//এস//

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *