ব্রিজের নিচ থেকে ঝালমুড়ি বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার
মার্চ ১৯, ২০২৪
অনলাইনে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ১
মার্চ ১৯, ২০২৪

মিরপুর-পল্লবীতে দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের ১৪ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর মিরপুর মডেল ও পল্লবী থানাধীন এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং “রিংকু গ্রুপ” ও “অনিক গ্রুপ’র লিডার রিংকু ওরফে আরএম রিংকু এবং হাসিবুল হাসান অনিকসহ ১৪ জনকেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো চাপাতি, ছুরি, ক্ষুর, হেরোইন ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- রিংকু ওরফে আরএম রিংকু (৩০),তানভীর মাহমুদ সাজ্জাদ (২৮), মো. ছাব্বির হোসেন (২৯), মো. রাজিব হোসেন (২৮)৷

এছাড়াও রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে “রিংকু গ্রুপ”র আরও ৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

তারা হলেন- মো. হাসিবুল হাসান অনিক (২৬), মো. শহিদুল ইসলাম (২৯), মো. জামাল শিকদার ওরফে রবিন (৩২) ও মো. বেলাল হোসেন (২৭)।

এছাড়াও রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে ‘অনিক গ্রুপ’র দুজন সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে র‍্যাব-৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( মিডিয়া)জিয়াউর রহমান চৌধুরী

তিনি বলেন, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বেশকিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। এরমধ্যে কিশোর গ্যাং “রিংকু ওরফে আরএম রিংকু’’ লিডারসহ ২০/৩০ জনের সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এই গ্যাং এর সদস্যরা মিরপুর-২ এর আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

“রিংকু” গ্রুপের লিডার রিংকু ওরফে আরএম রিংকুর বিরুদ্ধে মিরপুর, ফরিদপুর নগরকান্দা থানায় মাদক, দস্যুতা, চুরি, মারামারি এবং খুনের চেষ্টা সংক্রান্ত ৪টি মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বেশকিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। এরমধ্যে কিশোর গ্যাং ‘‘অনিক গ্রুপ’’ এর লিডারসহ ২০/৩০ জনের সক্রিয় সদস্য রয়েছে।

তিনি বলেন, এই গ্যাং এর সদস্যরা পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাদসহ আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।

‘‘অনিক গ্রুপ’’র লিডার মো. হাসিবুল হাসান অনিক এর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ৪টি মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

চিহ্নিত এসব বেপরোয়া ও মাদকসেবী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অত্যাচারে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ ও অসহায় হয়ে পড়েছে।

এএসপি জিয়াউর রহমান আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং ‘‘অনিক গ্রুপ’’ ও “রিংকু গ্রুপ”র লিডার মো. হাসিবুল হাসান অনিক ও রিংকু ওরফে আরএম রিংকু তাদের সহযোগীদের নিয়ে এলাকায় চুরি, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি করে আসছিলো।

চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাধারণ লোকজনকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তাছাড়াও ফুটপাতের দোকানদাররা চাঁদা দিতে অস্বীকার জানালে তাদেরকেও মারধর করে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা

//এস//

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *