জাহাঙ্গীর কবির নানকের বাসায় তল্লাশি
আগস্ট ২২, ২০২৪
অর্থপাচার মামলায় খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ
আগস্ট ২২, ২০২৪

বাঁধের পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয়নি, দাবি ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাংলাদেশে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ ৬টি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২ লাখ পরিবার। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ।

অভিযোগ উঠেছে, ভারতীয় বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ভারতের দাবি, বাঁধের পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরার গোমতী নদীতে ভারতীয় বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বন্যার বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা বাংলাদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখেছি। তবে বাস্তবে এটি সঠিক নয়।

এতে আরও বলা হয়, আমরা উল্লেখ করতে চাই- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে এই বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণে ঘটেছে।

ডাম্বুর বাঁধটি সীমান্ত থেকে বেশ দূরে – বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে অবস্থিত। এটি স্বল্প উচ্চতাবিশিষ্ট (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ যা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে একটি গ্রিডে পাঠায় এবং সেখান থেকে বাংলাদেশও ত্রিপুরা থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎশক্তি গ্রহণ করে।

প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীপথে অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া ২-এ তিনটি স্থানে আমাদের পানিরস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে।

সমগ্র ত্রিপুরা ও এর পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের জেলাগুলোতে ২১ আগস্ট থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী প্রবাহের এই ঘটনায়, পানির স্বয়ংক্রিয় মুক্তকরণ পরিলক্ষিত হয়েছে।

অমরপুর স্টেশন একটি দ্বিপাক্ষিক প্রটোকলের অংশ যার অধীনে আমরা বাংলাদেশে বন্যার তাৎক্ষণিক তথ্য প্রেরণ করছি।

বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশে সরবরাহকৃত তথ্যে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬ টায়, বন্যার কারণে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটার ফলে যোগাযোগের সমস্যা দেখা দেয়। তবুও, আমরা জরুরি ভিত্তিতে তথ্য পাঠানোর জন্য তৈরি অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা যা উভয় পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এবং এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

যেহেতু দুটি দেশের ৫৪টি অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে, তাই নদীর পানি-বিষয়ক সহযোগিতা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানি সম্পদ ও নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগসমূহের সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *