ভয়াবহ বন্যা: উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে
আগস্ট ২৩, ২০২৪
সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গ্রেপ্তার
আগস্ট ২৪, ২০২৪

সাবেক বিসিবি সভাপতি পাপনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে নাজমুল হাসান পাপন। গত (বুধবার) বিসিবির বোর্ড সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না তিনি। তার পরিবর্তে বিসিবি সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিসিবির পাপন অধ্যায়।

এবার এই সাবেক বিসিবি সভাপতির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। পাপন ছাড়াও তার স্ত্রী রোকসানা হোসেন ও তাদের সন্তানের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। তাদের কোনো লকার–সুবিধা থাকলে সেগুলোও স্থগিত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে- উল্লিখিত ব্যক্তিরা ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহারও ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানে সন্তান হওয়ায় রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। শূন্য আসনে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ২০০৯ সালের উপ-নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম মেয়াদে সংসদ সদস্য হন তিনি।

পাপন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের অন্যতম দল আবাহনী লিমিটেডের সাথে প্রায় এক দশক জড়িত আছেন। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আবাহনীর ক্রিকেট কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও ২০০৬ সালের করপোরেট ক্রিকেট লীগের চ্যাম্পিয়ন বেক্সিমকো ক্রিকেট দলের সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী আসরে উপদেষ্টা কমিটির সভাপতিত্ব করেছিলেন।

আ হ ম মোস্তফা কামালের পর ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পান পাপন। এরপর থেকে একক আধিপত্য দেখিয়ে দেশের ক্রিকেটকে পরিচালনা করেছেন। চলতি বছরেই শেষ হবে বিসিবিতে তার তৃতীয় টার্মের মেয়াদ। দীর্ঘ ১২ বছর নানা আলোচনা এবং সমালোচনার মধ্য দিয়ে গেলেও চলতি বছর ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।

পাপন মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই ক্রীড়াঙ্গনের অলিখিত অভিভাবক। হকি, ফুটবলসহ অনেক সমস্যা সমাধান তার দ্বারস্থ হতেন। তবে শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের অধিপত্য শেষ হয়েছে পাপনের।

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *