সচিবালয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারতো: আইন উপদেষ্টা
আগস্ট ২৬, ২০২৪
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু গ্রেপ্তার
আগস্ট ২৬, ২০২৪

এবার ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলে দিলো ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার কারণে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত।

সোমবার (২৬ আগস্ট) এই গেটগুলো খুলে দেয়া হয়। ফলে একদিনে বাংলাদেশে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হবে। বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি ও পাহাড়ি ঢলের তথ্য বাংলাদেশকে আগে থেকেই দেয়া হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ময়েজ উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল (রোববার) পর্যন্ত ফারাক্কার ২৭টি গেট খোলা ছিল। আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম মোট ১০৯টি গেট খোলা হয়েছে। এভাবে হঠাৎ এতগুলো গেট খুলে দিলে এই অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’

ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে বন্যার কারণে পানির চাপ বেড়েছে। তবে, নেপাল থেকে এখনও পাহাড়ি ঢল আসেনি, যা কিছুটা স্বস্তির বিষয়। ফারাক্কা ব্যারেজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইছে, তাই বাধ্য হয়ে গেটগুলো খুলতে হয়েছে। ফিডার ক্যানেলেও পানি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে বলেন, ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় সতর্ক থাকে এবং নিয়মিত নজর রাখছে। পানির চাপ দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণে সব ১০৯টি গেট খুলতে না দিলে ব্যারেজের ওপর বড় চাপ পড়তে পারত, যা বড় ক্ষতির কারণ হতে পারত। বর্তমানে ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক ও ডাউন স্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফারাক্কা ব্যারেজের আপ স্ট্রিমে পানির ধারণ ক্ষমতা ২৬.২৪ মিটার, বিপৎসীমা ২২.২৫ মিটার এবং সতর্কতা সীমা ২১.২৫ মিটার। আপ স্ট্রিমে পানি ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করায় শনিবার থেকে অধিকাংশ গেট খুলে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ব্যারেজ থেকে ১১ লক্ষ কিউসেকের বেশি পানি ছাড়ানো হচ্ছে।

এদিকে, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যার কবলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল। বন্যায় বাস্তচ্যুত হয়েছে লাখো মানুষ। প্লাবনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ জন।

অভিযোগ উঠেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেয়ায় এই আকস্মিক বন্যা। কিন্তু দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ভিন্ন কথা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের নিচের দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণে।

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *