গভীর রাতে জাহাজে অগ্নিকাণ্ড, উদ্ধার ৩১
অক্টোবর ১৩, ২০২৪
ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর চলে গেল শিশু ছেলেও
অক্টোবর ১৩, ২০২৪

দুর্গাপূজায় ভারতে গেল পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার কেজি ইলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের বাঙালিদের ইলিশের স্বাদ দিতে ৫ লাখ ৩৩ হাজার কেজি (৫৩৩ মেট্রিক টন) ইলিশ মাছ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এবার শর্তসাপেক্ষে দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেলেও শেষমেষ বেনাপোল দিয়ে গেলো মাত্র ৫৩৩ মেট্রিক টন। সেই হিসাবে সরকারের দেয়া রপ্তানি আদেশের মাত্র ২২ শতাংশ ইলিশ ভারতে গেলো।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল মাছ রপ্তানির শেষ দিন। সে অনুযায়ী, গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৬ দিনে বেনাপোল পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৫৩৩ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যার রপ্তানিমূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বলে জানান কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা।

এবার সময়স্বল্পতা, বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেননি। শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত মধ্যরাত থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত ২০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নীলা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি, বাংলাদেশ লজিস্টিকস সার্ভিসেস, গনি অ্যান্ড সন্স, এমি ইন্টারপ্রাইজ, রাহাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ব্রাদার্স এক্সিম, এম এম কার্গো সার্ভিসেস এই সাতটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান বেনাপোল পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ইলিশ মাছ রপ্তানি করেছে।

বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন পরিদর্শক আসওয়াদুল আলম জানান, প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানিমূল্য ১০ মার্কিন ডলার।

এর আগে, ২১ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। তবে পরে সেখান থেকে সরে এসে শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৪৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫০ টন করে আর একটি প্রতিষ্ঠান লোকজ ফ্যাশন ২০ টন ইলিশ রপ্তানির শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন পায়। বেশিরভাগ ইলিশ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়।

অনুমোদনের চিঠিতে বলা হয়, সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনোরকম বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রপ্তানির এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে। আবার সরকার প্রয়োজন মনে করলে রপ্তানির এই আদেশ যেকোনো সময় বন্ধও করতে পারবে বলে অনুমোদনের শর্তে বলা হয়।

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *