কাফরুলে গ‍্যাসের চুলা জ্বালাতে গিয়ে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫
নভেম্বর ১১, ২০২৪
বন্ধ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকদের অবরোধ
নভেম্বর ১১, ২০২৪

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার শাজাহান খান-মেননসহ ৭ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যায় পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, রাশেদ খান মেননসহ ৭ জনকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, সাবেক এমপি আব্দুস সোবহান গোলাপ, যুবলীগ নেতা কবির হোসেন এবং ডিজিএফআইয়ের রেজাউল করিম।

এর আগে, এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

যাকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে-

পল্টন থানার শামীম হত্যা মামলায় শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রেজাউল করিম ও কবির হোসেন, আব্দুস সোবহান গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত হন রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় আহম্মদ হোসেনকে এবং মিরপুরের দুটি হত্যা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর হত্যার অভিযোগে গত ১৩ আগস্ট প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে।

এ ছাড়া গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, গত ২২ আগস্ট গুলশান এলাকা থেকে রাশেদ খান মেনন, গত ৩ সেপ্টেম্বর চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, গত ২০ আগস্ট গুলশান থেকে আহমদ হোসেন এবং গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে গোলাপকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছাত্র আন্দোলন দমাতে এবং হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মীসহ পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *