সংস্কার শেষ হলেই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন: আসিফ মাহমুদ
ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
পাঁচ ঘণ্টা পর সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪

সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে কাকরাইলে অবস্থানের ডাক জুবায়েরপন্থিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুবায়েরপন্থিরা। একইসঙ্গে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ এবং তাবলিগের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের কোনো কার্যক্রম চালাতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।

তিনি বলেন, কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠসহ তাবলিগের সব কার্যক্রম শুরায়ে নেজামীর অধীনে পরিচালিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাকরাইল ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরে সাদপন্থিরা একই কায়দায় একতরফা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের মতো তাবলিগ জামাতের সাথী ও ছাত্র শিক্ষকদের রক্তাক্ত করেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, সাদপন্থিরা তাবলিগি নয় বরং তারা সন্ত্রাসী চরমপন্থি বাহিনী। যারা গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তাদের মূল হোতাসহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। দুঃখের সঙ্গে আরও বলতে হয় যে, ১৭ তারিখের কাল রাতে টঙ্গির মাঠের দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, ভিক্টোরিয়া পার্ক মসজিদের খতিব মুফতি আমানুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দু’টি অংশ ‘জুবায়ের’ ও ‘সাদপন্থিদের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছে, যা এর আগে কয়েক দফা সংঘর্ষে গড়িয়েছে।

সর্বশেষ ১৭ই ডিসেম্বর টঙ্গীর তুরাগ তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশত অনুসারী আহত হয়েছেন।

সেসময় সংঘর্ষের একপর্যায়ে জুবায়েরপন্থিদের ধাওয়া দিয়ে ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নেন সাদপন্থিরা।

পরে জুবায়েরপন্থিরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরের ওপর দায় চাপিয়েছেন।

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *